চট্টগ্রামে শাশুড়ি হত্যা মামলায় পুত্রবধূকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সার রোববার এ দণ্ডাদেশ দেন।
২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পুত্রবধূ নাঈমা লিজার হাতে খুন হন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী সোহাগ খাতুন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতিবেশী হাফিদুল ইসলাম কফিলের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল লিজার। শাশুড়ি তা জানতে পেরে লিজার স্বামীকে অর্থাৎ নিজের ছেলেকে জানিয়ে দেন।
এরপর কপিলের প্ররোচনায় শাশুড়ি সোহাগ খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করেন লিজা।
এ ঘটনায় শ্বশুর ফজলুল হক বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় পুত্রবধূ লিজার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন আসামি লিজা।
জবানবন্দি ও তদন্তে কফিলের সম্পৃক্ততা পেয়ে দুজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আদালত ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট রুবেল পাল বলেন, পুলিশ অভিযোগপত্রে দুইজনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও আদালত হাফিদুল ইসলাম কফিলকে খালাস দিয়েছেন। কিন্তু তদন্তে কফিলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই উচ্চ আদালতে কফিলের শাস্তি চেয়ে আবেদন করা হবে।